আরব দেশের মধ্যে ইসলামিক আইন কানুন মেনে চলে। সৌদি আরব হলো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে। তবে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।ইসলামী দেশ বলে কথা।
তরুণ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতেনানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন।এরি মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি সরকার।
তবে এবারএকের পর এক নারীদের জন্য অবাধ স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত করছে সৌদি আরব। এর অংশ হিসেবে সৌদি নারীরা এবার প্লেন চালাতে পারবে।
এর আগে দীর্ঘদিনের ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর এবার প্লেনের ককপিটে বসতে যাচ্ছেন সৌদি নারীরা। সৌদি আরবের একটি ‘ফ্লাইট স্কুল’ দেশটির নারীদের প্লেন চালানোর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এর আগে দেশটির ট্রাফিক অধিদফতর নারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেছে। সৌদি আরবকে বলা হয়, কট্টোর রক্ষণশীল দেশ। কিন্তু সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশে ব্যাপক সংস্কার অভিযান চালাচ্ছেন। এরমধ্যে অন্যতম নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান তার এই সংস্কার কার্যক্রমেরই অংশ। অথচ বছর খানেক আগেও ভাবা সম্ভব ছিল না মেয়েরা দেশটিতে গাড়ি চালাতে পারবেন। এখন আবার প্লেন চালাবে!
রাষ্ট্রীয় জীবনে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে চাইছে সৌদি আরব। বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করতে চায় দেশটি। এর পরও নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে সমালোচনারমুখে ছিল সৌদি সরকার।
গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বোরকা ও নেকাব পরা বাধ্যতামূলকই থাকছে। এ বাদেও আইন সংক্রান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয় সৌদি নারীদের।